শিরোনামঃ মুসলিম সভ্যতা বিজ্ঞান কে কী দিয়েছে?
বর্তমান সময়ে এই সকল বিষয় নিয়ে খুব একটা আর্টিকেল লেখা হয়না কিংবা বইও বের হয়না।
কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন মুসলিম জাতি গোটা বিশ্বকে শাসন করতো এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের চূড়ায় আরোহণ করেছিল। মুসলিম সভ্যতার সে স্বর্ণযুগের কথা অনেকেরই অজানা।
ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা পণ্ডিতগণ বলে থাকে যে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত হলো বিজ্ঞানের অন্ধকার যুগ। কিন্তু এটি ইউরোপীয়দের জন্য অন্ধকার যুগ হতে পারে, মুসলিমদের জন্য কখনোই ছিল না।
মুসলমান বিজ্ঞানীগণ মরুর বুকে যে ফুল ফুটিয়ে ছিলেন তার কারণে বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা আজ সুগন্ধময়।
পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা মুসলিম বিজ্ঞানীদের বই পড়ে এবং সেগুলো নিজেদের আবিষ্কার বলে চালিয়ে দেয়। পশ্চিমাদের আগ্রাসন আর ইতিহাস বিকৃতির কারণে বর্তমানে সত্যতা ঘাস ফুলের মত পদতলে পিষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বাঙালি মহাকবি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেছিলেন :
"গাবো অতীত কথা, গৌরব কাহিনী,
নাচাইতে মুসলেমের নিস্পন্দন ধমনী।
গাবো সে দুর্দম বীর্য দীপ্ত উন্মাদনা,
কৃপা করি অগ্নিময়ী করে এ রসনা। "
বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা মুসলিম বিজ্ঞানীদের দানে প্রজ্বলিত কিন্তু চোখে কাপড় বাঁধা থাকায় কেউ সেটি দেখতে পাচ্ছে না। ইতিহাস বিকৃতির কারণে চাপা পড়া এরকম একজন বিজ্ঞানী হচ্ছেন আল-ফারাবী।
তাঁর নাম ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ "ফারাবিয়াস" বলে উল্লেখ করেছেন। বিজ্ঞানীগণ প্রকৃতিকে যথাযথ ভাবে উপলব্ধি করেছিলেন এবং প্রকৃতির সূক্ষ্ম বিষয়সমূহকে বর্ণনা করেছেন।
এ সম্পর্কে আল মাসুদি 30 খন্ডের প্রকৃতির ইতিহাস নিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া রচনা করেছেন। তিনি আরবের 'হেরাডোটাস' হিসেবে খ্যাত। তাঁর বই থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে ইরানে প্রাচীনকালে বায়ুকল ছিল যা দ্বারা সেচ কাজ চলত। এটি ছিল একটি বিরল দৃষ্টান্ত।
আল বেরুনি একটি চমৎকার আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৪,৬,১৮ কিংবা অন্যান্য সংখ্যা হতে পারে কিন্তু কখনোই ৭ বা ৯ হবে না। প্রাকৃতিক বিষয়ে কতটা সূক্ষ্মতা থাকতে পারে বলে তারা এসকল বিষয় আবিষ্কার করতে পারেন।
আল বেরুনি হলেন ত্রিকোণমিতির জনক।
আল-বেরুনীর বিষয়ে একটা কথা বলা বাহুল্য যে তিনি মানের শুদ্ধতা পরীক্ষার জন্য গণিতে "The Formula of Interpolation" নামের একটি বিস্ময়কর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।
কিন্তু তৎকালীন ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ এটিকে নিউটনের আবিষ্কার বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন।
বর্তমানে বিজ্ঞানের যে অতি গুরুত্বপূর্ণ শাখা রসায়ন তা মুসলিম সভ্যতার পূর্বে বিশ্বাস করা হতো না। অতিপ্রাকৃত হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
মুসলিমরা রসায়নে অনেক উন্নত ছিল। রসায়নের প্রতিশব্দ "Chemisty." Chemistry শব্দটিই এসেছে "Chemi" শব্দ থেকে যা আরবি শব্দ। "Chemi" শব্দটি এসেছে আবার আরবি শব্দ "আল কিমিয়া" থেকে।
জাবির ইবনে হাইয়ানকে রসায়ন এর জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পশ্চিমা পন্ডিতগণ তার নাম উল্লেখ করেছে "জিবার" নামে এবং তারা দাবি করেছিল যে তিনি নাকি একজন নাস্তিক ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন মুসলমান ছিলেন।
তাঁর বইয়ের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮০০ টি। তিনি চামড়া ও কাপড়ে রং করার প্রণালী, সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, পাতন, ঊর্ধ্বপাতন, পরিস্রাবণ , কেলাসন প্রভৃতি ছিল তাঁর আবিষ্কার।
এবার মুসলিমদের আরো কয়েকটি চমকপ্রদ আবিষ্কারের কথা জানা যাক।
গণিত মানেই হল সংখ্যা নিয়ে খেলা। অংকের মাধ্যমে সংখ্যা লেখার যে সংখ্যা পদ্ধতি তা প্রথম প্রচলন করেছিলেন আরবরা। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিরও প্রথম প্রচলন ঘটান আরবরা। আল বাত্তানি নামটি শুনলেই আমাদের মনে পড়ে সৌর বছরের পরিমাপ।
তিনি দেখিয়েছিলেন এক বছরে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড হয়।
সে সময় তিনি কোন উন্নত যন্ত্রপাতি ছাড়া তা কিভাবে দেখিয়েছিলেন তা আজও বিস্ময়ের। একাধারে ভূগোলবিদ, গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ আল কিন্দি বলেছিলেন সকল সূত্র আপেক্ষিক।
অপরদিকে গ্যালিলিও, নিউটন বলেছিলেন সকল সূত্র পরম সূত্র ।কিন্তু আইনস্টাইনের সুবাদে আমরা জানতে পেরেছি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব।
মুসলিম বিজ্ঞানীগণ কোন উন্নত যন্ত্রপাতি ছাড়াই যা আবিষ্কার করেছিলেন তা অকল্পনীয়।মোহাম্মদ আহমদ এবং হোসাইন শাকির দুই ভাই সর্বপ্রথম পৃথিবীর উপরিভাগ এবং লোহিত সাগরের আড়াআড়ি পরিমাপ করেন।
একই সময়ে আবার পৃথিবীর মানুষ ভাবতো পৃথিবী সমতল। আল-ইদ্রিসির হাত ধরেই ভূগোলে প্রথম উন্নয় ঘটে। তিনিই প্রথম পৃথিবীর নিখুঁত মানচিত্র অঙ্কন করেন ।
"বাইনোমিয়াল থিওরেম" এর জন্য আজ মহাবিজ্ঞানী নিউটন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছেন। কিন্তু তারও শত শত বছর পূর্বে এটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন কবি হিসেবে পরিচিত ওমর খৈয়াম। ওমর খৈয়াম প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন যে তিনি ৫ কিংবা ৬ দিনে একটি সম্পূর্ণ বই মুখস্থ করে ফেলতে পারতেন।
নিউটন আবিষ্কার করেন মধ্যাকর্ষণ শক্তি। কিন্তু তাঁরও শত শত বছর পূর্বে এটি সম্পর্কে সর্ব প্রথম ধারণা দেন জাবির ইবনে আল হাইসাম।
আমি এখানে মহাবিজ্ঞানী নিউটন কে দোষারোপ করছি না। নিউটন ও এর ভাগীদার।কিন্তু সে সময় লোকচক্ষুর আড়ালে থাকায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সম্পর্কে খুব একটা মানুষ জানতে পারেনি।
টলেমি এবং গ্যালনকে প্রাচীন কালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে দাবি করা হয়। কিন্তু টলেমির বহু মতবাদ কে ভুল প্রমাণিত করেন আল-বাত্তানী ও মহাবিজ্ঞানী জাবের ইবনে আল হাইসাম।
এ কারণে জাবের ইবনে আল হাইসাম কে "দ্বিতীয় টলেমি" বলেও অভিহিত করা হয়। তিনি আল-হাজেন নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁর বই "Book of Optics" হতে একটি চিত্র পাওয়া যায় যাতে ক্যামেরার ধারণা পাওয়া গেছে।
আমরা যারা মাধ্যমিকের ছাত্র তারা পীথাগোরাসের সূত্র লিখতে ও পড়তে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু পিথাগোরাস এটি কখনোই প্রমাণ করতে পারেননি। যিনি এটি প্রথম প্রমাণ করেন তাঁর নাম ইবনে তুসি।
ইবনে তুসিকে আমরা কয়জন চিনি? আরো যে কত মুসলিম বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বুকে বিস্ময় সৃষ্টি করে গিয়েছেন তার তুলনা হয় না।
মানুষের প্রাণ বাঁচায় চিকিৎসাবিজ্ঞান।অবদানের দিক দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিম বিজ্ঞানীগণ একচ্ছত্র দাবিদার।
ইবনে সিনা, ইবনুন নাফিস, আলী ইবনে জাকারিয়া, ইবনে রুশদ,ইবনে যুহুর হচ্ছেন চিকিৎসা জগতে এক বিপ্লবের নাম।
পরীক্ষায় অনেক সময় প্রশ্ন করা হয় রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরটি বলতে হয় উইলিয়াম হার্ভে না হলে তো নম্বর কাটা যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা জানিনা যে তাঁরও ৪০০ বছর পূর্বে এটি আবিষ্কার করেন ইবনুন নাফিস। তিনি গ্যালেন এবং অ্যারিস্টটলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ কে ভুল প্রমাণিত করেন।
তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনে বিভিন্ন রোগের ঔষধ সম্বন্ধে তিনি ৩০০ খন্ডের বই রচনা করছিলেন, কিন্তু তাঁর অকাল মৃত্যুতে তা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশে একটি ঔষধ কোম্পানির নাম আছে যার নাম হল "Ibn Sina." বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগই জানেনা এই ইবনে সিনা আসলে কে?
বিশ্বাস করতে অনেকের কষ্ট হতে পারে যে ইবনে সিনা "আল কানুন" নামক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল চার লক্ষ ও পাঁচটি বিশাল খন্ডে বিভক্ত ছিল।
এখানে অনেক রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিষেধকের বর্ণনা ছিল। এটি ইউরোপের তৎকালীন অনেক নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ানো হতো।
ইবনে রুশদও চিকিৎসা ও গণিত সম্বন্ধে অনেক বই লেখেন কিন্তু কিছু বই বর্তমানে পাওয়া যায়।
আলী ইবনে জাকারিয়া তৎকালীন আরবের অনেক বিখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
এডওয়ার্ড জেনার উনিশ শতকের সময়ে এসে বসন্ত রোগের টিকা আবিষ্কার করেন।
কিন্তু তারও বহু আগে বসন্ত রোগের প্রতিকারের কথা বলে গিয়েছিলেন আলী ইবনে জাকারিয়া।তাই সে সময়ে আরবদের অনেক কম গুটিবসন্ত হত।
ইবনে সিনা হলেন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক। তাঁকে সে সময় "প্রাচ্যের অ্যারিস্টটল" বলা হতো। যদিও ইবনে সিনা গ্যালনের রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতির ভুল ব্যাখ্যা সমর্থন করেছিলেন।
আল- রাজি ছিলেন প্রখর মেধার অধিকারী। আল রাজির চিকিৎসাবিজ্ঞানের রচিত বহু বই তৎকালীন ইউরোপে পাঠ করানো হতো। আল-রাজীর নামে বর্তমানে ইউনিভার্সিটি ও ইনস্টিটিউটও চালু রয়েছে।
রসায়নে ও গণিতেও তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনিও গ্যালেন এর বহু মতবাদ কে ভুল প্রমাণিত করেন এবং এ সম্পর্কে বইও লেখেন।
আল-রাজী তাঁর শহরে একদা বিভিন্ন জায়গায় মাংসের টুকরা রেখে আসেন। এরপর যে স্থানের মাংসে সবচেয়ে দেরিতে পচন ধরেছিল সেখানে তিনি হাসপাতাল নির্মাণ করেন। এতে কোন জায়গা কতটুকু স্বাস্থ্যকর তার একটি খুবই সহজলভ্য পরীক্ষামূলক প্রমাণ পাওয়া যায়।
ইবনে যুহুর ছিলেন মুসলিম খেলাফতের সর্বশ্রেষ্ঠ মেডিকেল ক্লিনিশিয়ানদের মধ্যে একজন , সার্জারিতে এবং প্রসূতিবিদ্যায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বহু মারাত্মক রোগের প্রতিকার লিখে রেখে গিয়েছেন। ইবনে যুহুর সার্জারিতে ব্যবহৃত অনেক চিকিৎসার যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করে গিয়েছেন।
মুসলিম সভ্যতা উড়ন্তবিহঙ্গের মতো জ্ঞান-বিজ্ঞানের অকূল পাথার সমুদ্রে বিপ্লব এনে দিয়েছিল।
দ্বাদশ শতাব্দীর পর উড়ন্তবিহঙ্গের কিভাবে যেন পতন হয়ে গেলো।
বর্তমানে মুসলিমরা তাদের সেই গৌরবদীপ্ত নবচেতনাধীন পূর্বপুরুষদের কথা ভুলে গিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান বহির্ভূত। তাদের উচিত হবে তাদের যেই সোনালি দিনগুলো সোনার পালঙ্কে ভর করে পৃথিবীতে নবদিগন্তের সূচনা করেছিল সেই সুদিন আবার ফিরিয়ে আনা।
উড়ন্ত বিহঙ্গের পতনের কারণ হলো ঈর্ষা।
ঈর্ষা মুসলিম সভ্যতা কে ধ্বংস করেছে। যত মুসলিম বিজ্ঞানী ছিলেন তাঁরা সকলেই ছিলেন রাজ্য হারানো।
তাঁদের মেধার কারণে মুসলিম সুলতানগণ যখন তাঁদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত করত তখন রাজ্যের অন্যান্য সদস্যগণ এটি দেখে হিংসা করত।
এ কারণে রাজ্যের অন্যান্য সদস্যগণ মুসলিম বিজ্ঞানীদের নামে কুৎসা রটাত এবং মুসলিম সুলতানগণ ভুল বুঝে তাঁদেরকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে দিত। এভাবে তাঁদের অনেক বই ও গবেষণাপত্র কালক্রমে হারিয়ে গিয়েছে।
তবে বাগদাদের বাদশা হারুন-উর-রশিদ ও মামুন-উর-রশিদের সময়ে মুসলিম বিজ্ঞানচর্চার প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছিল।
বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান যে একেবারেই নেই তা বললে ভুল হবে।
আব্দুস সালাম,মরিয়ম মির্যাখানি,আজিজ সানকার, আহমেদ হাসান যারা বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের বরেণ্য ব্যক্তিত্ত্ব।
তিনি প্রথম নারী হিসেবে ২০১৪ সালে গণিতের সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার 'ফিল্ডস মেডেল' লাভ করেন। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম "তড়িৎ- চৌম্বকীয় তত্ত্ব" এর কারণে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন।
এটি পদার্থবিজ্ঞান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দরতম তত্ত্ব হিসেবে বিবেচিত। তুরস্কের বিজ্ঞানী আজিজ সানকার ও মিশরের বিজ্ঞানী আহমেদ হাসান রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞান গবেষণা খাতে বরাদ্দ কম হওয়া এবং বিজ্ঞানচর্চায় অনীহার কারণে গবেষণার খুব একটা উন্নতি হতে পারছে না। মুসলিম দেশগুলো বর্তমানে প্রযুক্তিতে যথেষ্ট পিছিয়ে।
মুসলিমরা গত ৩৫০ বছরে শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিখেছে কিন্তু ব্যবহার করাতে শিখেনি। বর্তমানে কিছু যুদ্ধবিধ্বস্ত মুসলিম দেশ ছাড়া সকল মুসলিম দেশ গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াচ্ছে এবং স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।
মুসলিম বিজ্ঞানীগণ যে বিজ্ঞানবৃক্ষ রোপণ করে গিয়েছিলেন তা পশ্চিমারা কেটে ফেলেছে কিন্তু মূল পর্যন্ত যেতে পারেনি।
ভবিষ্যতে সেই মূল থেকে গাছ গজাবে, মুসলিম বিজ্ঞানীগণ তা আদর-যত্ন দিয়ে বড় করে তুলবেন এবং আধুনিক বিজ্ঞানে আমূল পরিবর্তন আনবেন,
আশা করা যায় - তা দেখতে টাইম মেশিন লাগবে না।
শাহরিয়ার আহমেদ
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সৈয়দপুর, নীলফামারী , বাংলাদেশ।