শদ দূষণ কি ?
- যখন শব্দ মানুষের শ্রবণ সীমার বাইরে চলে যায় কৃত্তিম বা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট কারণে আর শব্দের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য/গুনাগুণ নষ্ট করে তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে ।
- সাধারণত ৪৫ ডেসিবেল (dB) এর চেয়ে বেশি শব্দকে শব্দ দূষণ বলে।
শব্দ দূষণের কারণ কি ?
শব্দ দূষণের কৃত্তিম কারণ :
১.যানবাহনের হর্ণের উচ্চ শব্দ
২.বিভিন্ন নির্মাণাধীন প্রকল্পের উৎপন্ন শব্দ
৩. কলকারখানার উচ্চ শব্দ
৪. উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো
৫. উড়োজাহাজের ও সুপারসনিক জেট বিমানের উৎপন্ন শব্দ
শব্দ দূষণের প্রাকৃতিক কারণ :
১.তীব্র বজ্রপাত
২.আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
৩. ভূমিকম্প
৪. সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ
শব্দ দূষণের কারণে কি কি রোগ হয় ?
শব্দ দূষণের কারণে সৃষ্ট রোগ :
১.শব্দদূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়
২.দুশ্চিন্তা
৩.উগ্রতা
৪.উচ্চ রক্তচাপ
৫.ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে
৬.শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ হতে পারে
শব্দ দূষণ প্রতিকারের ও প্রতিরোধের উপায় কি ?
বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম
শব্দ দূষণের প্রতিকার :
শব্দ দূষিত হওয়ার পর সেই পরিবেশে বিভিন্ন উপায়ে খাপ খাইয়ে চলাকে শব্দ দূষণ প্রতিকার বলে যেমন -
১. Hearing Aid ব্যবহার করা
২. উচ্চ শব্দ উৎপন্ন হয় এমন স্থান এড়িয়ে চলা
শব্দ দূষণ প্রতিরোধ :
শব্দ যেন দূষিত না হয় সেজন্য গৃহীত পূর্ব পদক্ষেপ সমূহকে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ বলে । শব্দ দূষণের কারণগুলো সমাধান করলেই শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে ; যেমন -
১. যানবাহনে ৪৫ ডেসিবেল এর চেয়ে কম শব্দ উৎপন্ন হয় এমন হর্ণ ব্যবহার করা
২. কলকারখানায় সাইলেন্সার ব্যবহার করা যাতে উৎপন্ন শব্দ; শব্দ দূষণ না ঘটায়
৩. উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকা
৪. লোকালয়ে উড়োজাহাজ ও সুপারসনিক জেট বিমান যেন চলাচল না করে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া ।
৫. শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা
.webp)